শিশির ভেজা
শিশির ভেজা
সবুজ ঘাস কে দেখে
মনের মাঝে প্রশ্ন জাগে
কে এঁকেছে?
এই কারু কাজ
বলতে পারো কেউ।
কে একেছে?
এই ধরণী
নদীর কলো তান।
তিনি মোদের
মহান প্রভু
আল্লাহ মেহেরবান।
যার করুণায়
সৃষ্টি সকল
গাহে তাহার গান
যার করুণায় সূর্য ওঠে
চাঁদের মুখে হাসি।
যার নামেতে
সিজদা লুটে
গাহে তাহার গান।
তিনি মোদের
মহান প্রভু
সর্ব শক্তিমান।
……………………………………………
দেখ আকাশ
দেখ আকাশ
জোস্না রাতে
তারারা ছবি আঁকে।
কিছু তারা মিটি
জলছে রাতের পাঁকে।
এসো খেলি
লুকু চুরি
রাতের আঁধারে।
মিলে মিশে
একি সাথে
হাটছি এক সাথে।
তবু আমি
তোমার কাছে
হারছি দিন শেষে।
……………………………………………
আমি বিকলাঙ্গ
আমি বিকলাঙ্গ
বলে তোমরা
হিংসা করো জানি।
আমার কি দোষ?
এ ভাবে আসা
এই ধরণীতে।
দোষ যদি না থাকে
তবে হিংসা চোখে কেন?
যদি কেউ হতে এমন
তবে লাগতো কেমন।
চাই না আমি
কারো কাছে দয়া।
মানুষ হয়ে বেঁচে থাকা
এটাই আমার প্রার্থনা।
……………………………………………
ও মাঝি ভাই
ও মাঝি ভাই
যাওরে কোথায়
একটু দাঁড়াও না।
তোমার নায়ে যাবো আমি
আমায় নাও না।
তুমি না আমার কাছের বন্ধু
দূর সময়ের সাথী।
তোমার দুঃখের কথা শুনতে
এখন ও আমি আছি।
তোমার মনে কষ্ট দেখে
চোখে জল আসে।
তাই তোমার কথা শুনতে
এলাম নদীর ঘাটে।
……………………………………………
অনেক কথা বলার ছিল
অনেক কথা বলার ছিল
শুনবে কি তুমি।
অনেক কথা বলার ছিল
লিখবো কি আমি।
এই তো সেই দিনের কথা
তোমার কি মনে পড়ে?
তোমাকে না জাগালে
তুমি জাগতে না।
তোমাকে না গান শুনালে
তুমি কথা বলতে না।
তোমাকে না খাইয়ে দিলে
তুমি হাওয়াই মিঠাই খেতে না।
তোমার চোখ না মুছে দিলে
তোমার কান্না থামতো না।
তোমাকে না ভালবাসলে
তুমি আমায় আদর করতে না।
……………………………………………
শীতের রাতে
শীতের রাতে
হাটতে গিয়ে
দেখি চাঁদের মুখে হাসি।
চাঁদের কোণে
চরকা কাঁটে
চাঁদের সেই বুড়ি।
তাই তো মোরা
আপন মনে
চাঁদ কে দেখতে থাকি।
চাঁদে এমন
মিতালী দেখে
করছে কানাকানি।
তাই না বুঝে
সুখ তারা গুলো
হাসছে দিবানিশি।
……………………………………………
আমি এই বাংলায়
আমি এই বাংলায়
হেটেছি অনেক বার
দেখেছি কত ভাইয়ের কান্নার হা হা কার।
আমি এই বাংলায়
হেটেছি বহু বার
দেখেছি পাহাড়
দেখেছি নদী
সমুদ্রে একাকার।
আমি এই বাংলার
গলিতে গলিতে হেটেছি
দেখেছি লালসা আর আহাজারি।
আমি এই বাংলার
প্রতিটি নগরীতে হেটে হেটে দেখেছি
শীতার্ত মানুষের অশ্রুশিক্ত জল।
আমি এই বাংলার
মায়া ভরা পথে হেটেছি দেখেছি
কৃষকের নেয়াজ্য মূল্য
না পাওয়ার অধিকার।
আমি এই বাংলার
মানুষের অশ্রুশিক্ত দেখেছি
ভাই, বোন হারানোর বেদনা দেখেছি।
……………………………………………
মুক্ত দিগন্ত
মুক্ত দিগন্ত
মুক্ত বাতাস
মুক্ত আলোর দেশ।
সবুজ শ্যামল
ফুলে ভরা
এইতো আমার দেশ।
গাছ গাছালি
পাখ পাখালি
সব মিলে এক ছবি।
এই ছবিটি
আঁকতে গেলে
লাগতে পারে তুলি।
তাই আমি
মনের কোনে
তোমায় আঁকিয়ে রাখি।
যেন না
হারিয়ে পেলি
আমার গৌরব এর স্মৃতি।
……………………………………………
আমি অরণ্যের
আমি অরণ্যের
দিকে তাকিয়ে
নিজের দুঃখ ভুলে যাই।
আমি অরণ্যের
ভালবাসা পেয়ে
নয়নের জল মুচে যাই।
আমি অরণ্যের
সুবাস নিয়ে
তার ভিতরে হারিয়ে যাই।
আমি অরণ্যের
ফল ফলাদি দেখে
তার প্রেমে পড়ে যাই।
আমি অরণ্যের
কষ্ট দেখে
নয়নের জলে ভাসিয়ে যাই।
আমি অরণ্য
ধ্বংসের অবলিলা দেখে
মানব পরিচয় দিতে লজ্জা পড়ে যাই।
……………………………………………
রাতের শহরে
রাতের শহের
রাতের মানুষ
সূর্য ডুবলে আসে।
নানান কাজের
মানুষ গুলো
মিলেমিশে থাকে।
কেউ চলে যায় হকার করতে
কেউ চলে যায় শিক্ষা নিতে।
কেউ বা আবার
কাজ না পেয়ে
গোমরা মুখে থাকে।
এই ভাবে দিন
কাঁটছে তাদের
চলার গতিতে।
তবু ও তারা
হার মানে না
রাতের শহরে।
Recent Comments