হে সংসারী
১.
হে সংসারী…
পূর্বজন্মে কাঠুরে ছিলাম,
কত ক্ষমা পাওনা রয়ে গেছে…
লতা ভাবিনি তোমায়,
বৃক্ষ জেনেই
ছায়ায় রেখেছি আঙুল।
মাথা ভর্ত্তি ঋণ..
ক্ষমায় ক্ষমায় ঝুঁকে গেছে কাঁধ।
পিঠে ঘৃণা মাখালো কেউ…
২.
এসো চঞ্চল,
ছলাৎছল পায়ে নূপুর পরিয়ে দিই;
বাজছে বাজছে…
বড্ড বাজছে কানে,
কেন…
৩.
অগোছালো স্বভাব রক্তে আমার।
ভেসে গেছি…
যত্ন নিয়ে দাঁড়ালে যখন,
নোঙর দাও;
সাঁতার কাটি।
৪.
বিভোর হয়ে কী বা দেখছো?
পাটাতনের নীচে যে ক্রোধ,
যে স্বচ্ছ টানাটানি–
সন্দেহ নাম দিতেই
হাত গড়িয়ে পড়ছে
যাবতীয় সঞ্চয়…
৫.
আহা
কী বা এমন দুঃখ?
কী বা এমন হাহাকার?
গাছে গাছে লিখে দিচ্ছো…
ও নোনতা জল,
তোমাকে মানায় না।
হে পুরুষ…
৬.
এই তো ঝিমঝিম করছে মাথা…
শরীরে বাড়ছে লাশের গন্ধ…
একটা মশাও ছুঁয়ে দেখছে না পিঠ,
তুমি তো অনেকদূর…
কে ডাকছে কে ডাকছে ব্যাকুল…
যাই…
…………………………………………..
সংসারী হে
১.
বাতাস পড়ে ফেলছি। পড়ে ফেলছি
বিধি লিখন;
বিধি বাম।
বিধি ডান।
তবে মধ্যবর্তী কে?
২.
ইশারায় উড়ছে পাখি। বসছে না।
ভেসে গেছে জীবন
জেগে উঠেছিল ভেলা
সে আর কতদিন?
বেহুলার আঁচলে ভেজা চিঁড়ে
কোলে সন্তান।
৩.
স্নেহ লিখে লিখে
কেটে গেছে কাল।
সন্দেহ বাসা বাঁধছে ডালে
যে বসে বসুক।
যে ঠোকরায় , ঠোকরাক
ঘ্রাণ কতটা তীব্র এমন যে
খুলে যাবে দ্বার, গন্ধশিকল
৪.
নোঙর খুলে ভাঙছ ঢেউ,
হাহাকার নেই…
নেই মনস্তাপ;
দিনের সঞ্চয় আমি,
পথের সঞ্চয় আমি।
নির্ভার ভ্রমণ…
এভাবে জগৎ ভাবো কেন?
৫.
গুছিয়ে নিয়েছো সব!
সবকিছুই কি গোছানোর প্রয়োজন হয়?
কিছু মুহূর্ত তো চিরকালীন
গচ্ছিত রয়ে যায়…
থাকে না বিধিনিষেধ
থাকে খেয়ালখুশি…
ফুরসত দিয়ো,
বিস্তার দেবে এঁকে…
৬.
সেই তো পরম
যা হারিয়ে যায় না।
তার ভুলে থাকা থাকে
খেয়ালী শিশুর মতো…
স্মরণে শান্তি
নির্জন নিরাময়।
৭.
পারাপার কখন কাছে আসে
কে বা জানে!
যত্নে রাখা সঞ্চয়
লালিত পালিত ক্রোধ
আতুল ঘুমঘোর
হাই তোলে,
রোদ মেখে কাদা মেখে জল মেখে…
৮.
গাছে গাছে ঝুলছে নিয়তি
খসে যাওয়া পাতাও ভোলেনা
জন্মদাগ।
নাভি বড় ঠাণ্ডা হয়ে আসছে
আগুন দাও আগুন দাও
হে শ্মশানবন্ধু আমার…
Recent Comments