ক্রীতদাস
যাদের কাঁধে ভর করেই হলে মহারাজ
সুখে দুখে তাদের পাশে থাকা তোমার কাজ।
প্রজার ব্যথায় দেশের ব্যথায় কাঁপতে হবে বুক
তাদের মুখে ফুটলে হাসি তাতেই তোমার সুখ।
কিন্তু তুমি বসত গড়ো উপরতলার পর
তুমি রাজা আমরা প্রজা দুই মেরুতে ঘর।
আমার টাকায় তুমি চলো সুখে বারোমাস
তবু তুমি আমায় ভাবো তোমার ক্রীতদাস!
মানব সেবার বাহক হতে ভোটের আয়োজন
ভোটের শেষে প্রজার সাথে একী প্রহসন!
মহারাজা থামাও তোমার চালাকি ও ছল
লোকে বলে তোমরা নাকি তিত বেহায়ার দল।
দোহাই লাগে মানুষ হইও সামনে বিপদ ঢেউ
চেয়ারখানি উল্টে গেলে বাঁচাবেনা কেউ।
২৩.০৮.২০১৮
……………………………………………
বৃদ্ধনিবাস
আচঁলের নিধি! বড় হয়ে তোর; একি মতি ভ্রম?
আমার জায়গা ঠিক ক’রে দিলি বৃদ্ধাশ্রম?
তোকে ছাড়া বাবা ঘুমতো আসেনা কেঁদে কেঁদে রোজ
রাতের আকাশে তারার মাঝেও তোকে করি খোঁজ
ব্যথার চিঠিতে জানালাম তোকে শেষ আবেদন
মৃত্যুর আগে দেখা দে আমায় খুব পোড়ে মন।
১৯/০৯/২০১৮
……………………………………………
রাজনীতিতে মানুষ কারা
রাজনীতিতে নাম লেখালে
শরম নাকি থাকতে নেই
লাত্থি গুতো বাঁশ ডলাটা
মোটেও মনে রাখতে নেই।
টাকার পরে বিষ্ঠা মাখা
সেটাও নাকি চাটতে হয়
বড়লোকের পূত্র তবু
চাঁদার পিছু হাটতে হয়।
ধাপ্পাবাজি ভাঁওতাবাজি
জীবন থেকে ছাড়তে নেই
ঝগড়াঝাটি দাঙ্গাতেও
কারোর কাছে হারতে নেই।
গ্রামবাসীরা যতই তাকে
গুণ্ডা বলে, লজ্জা নেই
ওদের নাকি মাথায় ঘিলু
হাড্ডিতেও মজ্জা নেই।
রাজনীতিতে টাকার চেয়ে
আরতো বড়ো কিচ্ছু নেই
স্বার্থখাতে নিঠুর ওরা
ওদের মতো বিচ্ছু নেই।
জনগনের সেবা করার
কাজটা নাকি রাজনীতির
পবিত্র সে রাজার নীতি
সেটাও হলো আজ ভীতির।
স্বাধীন দেশে বসবাসের
আমার বড়ো ইচ্ছে হয়
কিন্তু ওরা রাত বিরাতে
চাদাবাজির দিচ্ছে ভয়।
সকল নেতা শপথ নিতে
বুকের পরে হাত রাখুক
নীতির রাজা হতে হলে
রাজনীতিরও জাত রাখুক।
বলছি শত বলবো আরো
তবুও যদি মানুষ হয়
প্রমাণ ক’রে দেখিয়ে দিক
ওদের কথা ফানুস নয়।
রাজনীতিতে মানুষ কারা
বলতে পারেন? জানতে চাই
তাদের বুকে বুক মিশিয়ে
একটু শুধু কানতে চাই!
২৮.০৪.২০১৯
……………………………………………
দোয়ার সিন্দুক
যখন আমি ছোট্ট ছিলাম
বাবার সঙ্গে রোজ
গলায় গলায় মিশে যেতাম
নিতাম বাবার খোঁজ।
আমি যখন হেসে দিতাম
দেখে বাবার মুখ
বাবা আমার ফুলে হতেন
খুশীতে তিন বুক।
মুখে হাসি চোখে হাসি
কী-যে বাবার সুখ!
উজাড় ক’রে খুলে দিতেন
দোয়ারই সিন্দুক।
এখন আমি পিতা কারো
বাবার থেকে দূর
বাবার স্মৃতি বুকের মাঝে
বাজায় করুণ সুর।
বাবা হলেন রাজার রাজা
বাবা আমার সব
তার উপরে শুধুই রাসূল সা:
এবং আমার রব।
নেই বাবা আজ তাইতো বুঝি
বাবার স্নেহের দাম
বেচে থাকলে এখন আরো
আদরে রাখতাম।
ছেলে মেয়ের সুখে যাদের
রক্তঝরা দান
সেই বাবারা জীবদ্দশায়
পায় যেন সম্মান।
০৮.০১.২০১৭।
……………………………………………
প্রজাপতি
প্রজাপতি মেঘ আছে প্রজাপতি ঢেউ
প্রজাপতি নাচ আছে দেখে নারে কেউ
আয় আয় প্রজাপতি আয় তোরে ছুঁই
ডানা ভরা এতো রঙ কোথা পেলি তুই?
ফুলে ব’সে রেনু খাস দেহ তুল তুল
শিং দু’টি ঠিক যেন সরু বেণি চুল
ছাপা শাড়ি প’রে তুই নেচে নেচে যাস
কী জানি কী অজানায় আমাকে পুড়াস।
ছোট বেলা তোকে আমি ধরার খেলায়
ভাই বোনে যোগ দিতো খুশির মেলায়
সারাদিন কেটে যেতো ক’রে হৈ চৈ
আহা! সেই দিনগুলি আজ গেলো কই?
খুব তুই ছিমছাম মিলেমিশে রোস
মানুষের কানে কানে এই কথা কোস
মিলেমিশে থাকে যারা, তারা সুখী ভাই
ছেঁড়া ছেঁড়া জীবনের কোনো দাম নাই
দুনিয়ার সকলেই মিলেমিশে থাক
মানুষের সব ব্যথা সুদূরে পালাক।
……………………………………………
রক্ত দিয়ে কেনা
রক্ত দিয়ে কেনা আমার মহান স্বাধীনতা
সেই দেশে আজ বলতে ভয়ে পারিনাকো কথা।
দিন দুপুরে বোনের গলার চেনখানি নেয় টেনে
কেউ বলেনা কোনও কথা বিপদ হবে জেনে।
বাবা মায়ের খুনি এখন হচ্ছে ছেলেমেয়ে
আর কতদিন থাকতে হবে করুণ চোখে চেয়ে!
রাজনীতিবিদ অন্ধ যারা কাচা টাকা গোনে
যে তারে দেয় বেশী পূজা তারই কথা শোনে।
থানা পুলিশ সবাই জানি হয়তো তারা ভালো
ইচ্ছে হলে তারাই পারে জ্বালতে দেশে আলো।
ওহে মালিক, দাওনা বলে মহাজতক তুমি
এদেশ কবে সাদা হবে? হবে পূন্য ভূমি?
২৮.০৯.২০১১.
……………………………………………
সবার চেয়ে দামি
আমি নাকি লক্ষ্মী খুবই বাবা মায়ে বলে
দেইনা কাজে কোনো ফাঁকি মিথ্যে কথার ছলে।
পড়ার সময় পড়তে বসি খেলার সময় খেলি
পাখির ডাকে খুব সকালে চোখের পাতা মেলি।
বিদ্যালয়ে রোজ হাজিরা লেখা পড়ায় ভালো
বুকের ভিতর জ্বলে আমার দেশপ্রেমের আলো।
ইঞ্জিনিয়ার ডাক্তার নয় টিচার হবো আমি
বাবা বলেন মানুষ হবি সবার চেয়ে দামি।
……………………………………………
ভণ্ডামি ওম্ শান্তি
বিশ্বে এখন ধর্মযুদ্ধ চলছে
মুসলমানরা বোম আগুনে জ্বলছে
মারছে ওরা মারছে দিবারাত্র
জঙ্গি সেতো; উছিলাই মাত্র।
আমেরিকা জার্মানী চীন ফ্রান্সও
বৃটেন এবং তাদের নানা ব্রান্চও
বিশ্ব থেকে মুসলমানের বংশ
পাল্লা দিয়ে করছে ওরা ধ্বংস।
সর্বশেষে সুচির নীতি আসলো
নাফ নদীতে রোহিঙ্গা লাশ ভাসলো
শিশুর বুকে বর্গী সেনার লম্ফ
মানবতায় কঠিন ভুমিকম্প!
জীব হত্যায় পাপ হবে না? বুদ্ধ?
সুচির সেনার পথ হবে কী রুদ্ধ?
ওরে সুচি কালনাগিনী সর্প
দু’দিন পরে শেষ হবে তোর দর্প
একটু করিস নিজের সঙ্গে যুদ্ধ
আগুন জলে ডুব দিয়ে হোস শুদ্ধ।
বুদ্ধবাবুর কথাতো তুই মানতি
তাহলে কী ভণ্ডামি ওম্ শান্তি!
২২/০৯/২০১৭
……………………………………………
চেষ্টা
দুখের মাঝে যারা হাসে
তাঁরাই থাকে সুখের পাশে
বিফলতায় হতাশ হলে
পড়বে জীবন আঁধার কোলে।
মনের কাছে স্বপ্ন বেচো
স্বপ্ন জাগার গল্প বেচো
গল্প যদি হয় গোছালো
জাগায় মনে আশার আলো।
আশা যদি থাকে মনে
তোমার ছোট্ট হৃদয় কোনে
দেখবে সেটা উঠবে জেগে
সফলতার তুমুল বেগে।
স্বপ্নটাকে কর্ম দিয়ে
চেষ্টা ক’রে নাও এগিয়ে
সোনার হরিণ পাবে দেখো
এই কথাটি মনে রেখো।
চেষ্টাগুলো প্রবল হলে
ভাগ্যদুয়ার দ্রুত খোলে
আল্লাহ্ বলেন চেষ্টা করো
সত্যপথে জীবন গড়ো।
১৪.০৪.২০১৮
……………………………………………
সমতা
মাগো তুমি রাগ করোনা
মুখ করোনা কালো
বিবেক জাগার কাজ ক’রেছি
বলবে তুমি ভালো।
সোনার দুটি দুল দিয়েছি
কাজের মেয়েটাকে
আমার মতো সেও যেন
আনন্দেতে থাকে।
ওকে আমি সাজিয়েছি
জমকালো এক সাজে
আজ থেকে আর নেই ভেদাভেদ
ওর ও আমার মাঝে।
ঈদ উৎসবে নয় শুধু মা
মাঝে মধ্যে দিও
আমার জন্যে কিনলে কিছু
ওর খবরও নিও।
আমার সুখে তোমার যেমন
মন খুশীতে হাসে
ওর বাবা-মা ঠিক তেমনই
ওকে ভালোবাসে।
একটু ভাবো মাগো তুমি
আমার দিকে চেয়ে
কেমন হতো আমি যদি
হতাম কাজের মেয়ে!
২১.০৪.২০১৮
……………………………………………
সোনার মানুষ
ধর্মছাড়া চলছে যারা মানুষ নামের ডামি
অন্ধ তারা ভীষণরকম হচ্ছে বিপথগামী।
জ্ঞানের অতি জ্ঞানপাপী নিজকে জ্ঞানী ভাবে
ভাবটা এমন দিনগুলো তার এমনি করেই যাবে।
নয়রে জ্ঞানী মূর্খ তারা উল্টো পথে চলে
নইলে কি আর ধর্ম নিয়ে ভ্রান্ত কথা বলে!
ঈমান নিয়ে মুমিন যারা ধর্ম পথে থাকে,
তাদের রেখে সোনার মানুষ বলবে তুমি কাকে?
……………………………………………
জীবনশেষে
তখন শরীর তাগরা ছিলো
সাত আট মাইল হেটেই যেতাম
দশ গেরামের খাদক ছিলাম
সাহস ক’রে সামনে দাঁড়ায়
এমন মানুষ কেউ ছিলোনা
আমি ছিলাম সিংহতেজী
বলতো সবাই লোহার শরীর
বাঘ পালাতো আমার ভয়ে
শিয়াল হয়ে গহীন বনে
আমার তখন কর্ম ছিলো
পাড়াপড়শি সকল মানুষ
শ্রদ্ধাঁভরে সালাম দিতো।
এখন আমি দু’দশ কদম
হাটতে গেলেই একটু জিরোই
আর পারিনা আগের মতো!
শীর্ণ দেহ জীর্ণ ভারি
অঙ্গসকল ভঙ্গ এখন
পা দু’টো ঠিক কঞ্চি যেমন
আর পারেনা রাখতে ধ’রে
হাড্ডিসার এই শরীরটাকে।
হাঁটুর জোরও ক’মে গেছে
স্মৃতি ভীষণ লোপ পেয়েছে
চোখ দু’টোতে ঝাপসা দেখি
একটু হাওয়া লাগলে গায়ে
চমকে উঠি! ঝড় এলো কী!
শুকনো পাতা উঠলে নড়ে
পাহাড় ভাঙার শব্দ শুনি।
বন্ধু যারা দুধের মাছি
আজ আসেনা আমার বাড়ি
চলার পথে ফুল ছড়াতো
যে লোকেরা ভালোবেসে
আজ দেখিনা তাদের ছায়া!
একলা বাড়ির ফুলবাগানের
ফুলগুলো কী চুপসে গেছে!
হাহুতাসে আমার সাথে
মনটা এখন এতোই ভীত
ইদুর দেখে পালাই দূরে
অসহায়ে জীবন কাটে
বৃদ্ধকাছে কেউ আসেনা
বৃদ্ধরা কী দেশের বোঝা?
প্রানের আপন ছেড়ে গেছে
সন্তানেরা অনেক দূরে
একলা থাকার কীযে ব্যথা
আমার মতো কেউ বোঝেনা
আমার মতো কেউ বোঝোনা।
সঞ্চিত ধন নেই কিছুই
দুই হাতে সব উড়িয়েছি
আজ মনে হয় জীবনশেষে
শরীর এবং টাকার মূল্য
বৃদ্ধ বোঝে সবচে’ বেশি….
……………………………………………
কষ্ট-রতন
কষ্টগাড়ীতে চলেছে জীবন
কষ্টটা খুব টাচি!
কষ্টতে মেলে কেষ্টযে তাই
কষ্ট নিয়েই বাঁচি।
পৃথিবীতে যার যতই কষ্ট
মাথায় বসুক চেপে
মৃত্যুর চেয়ে সেতো বেশী নয়
পারো যদি দেখো মেপে!
মৃত্যুকে যদি সম্মুখে রাখো
দুখ চলে যায় দূরে
কষ্টেরা ভয়ে বেহুঁশে পালায়
তুলোর মতোন উড়ে।
স্বপ্নেরা হেসে সাহসে দাড়ায়
কষ্টের মুখোমুখি
হাজারো দুঃখ পায়ে দ’লে বলে
আমরা জগতে সুখী।
২১.০১.২০১৮
……………………………………………
চুল
দু’টো যখন পেকেছিলো
গায় লাগেনি কিছু
পাঁচটা পাকায় ছুটি আমি
মিন্দি পাতার পিছু
দশটা পাকায় মাথা যেন
একটু হলো নিচু।
সিকি যখন পাকলো তখন
কষ্ট পেলাম মনে
আধা পাকায় আরও বেশি
পড়ছি আলোড়নে
কলপ দেয়ার তাগিদ দিলো
বউ ও বন্ধুগনে।
সাদা চুলে কলপ মেরে
সত্য দিলাম ঢেকে
মুখের ভাঁজও মুছে দিলাম
মেকআপের রঙ মেখে
তবু বয়স পড়লো ধরা
হাতের আঙুল দেখে!
মুখোশ পরা ভদ্রলোকে
যতই ছড়াক আলো
চোখ দেখে তার যায়গো বুঝা,
আলো? নাকি কালো
ভিতর বাহির স্বচ্ছ যাদের
হয়তো তারা ভালো।
গাজীপুর, ০৬.০৫.২০১৭
……………………………………………
ইলিশ স্মৃতি
বাংলাদেশের ইলিশ মাছের বিশ্বজোড়া নাম
অথচ তার নিজ দেশেই আকাশ ছোঁয়া দাম
কোথায় পাবো বড় ইলিশ বলতে পারেন ভাই?
জামাইর পাতে দেবার মতো সে মাছ এখন নাই
গরম ভাতে ইলিশ খেতাম আহারে তার ঘ্রাণ!
সেই ইলিশের সুবাস পেতে কেঁদে ওঠে প্রাণ।
বুক ফেটে যায় কষ্ট শোকে জাটকা ভরা দেশ
তাইতো আমি রাজার কাছে আর্জি করি পেশ
জাটকা ধরে করছে যারা দেশের সর্বনাশ
বলুন রাজা; দেবেন বলুন, তাদের গলায় ফাস?
১৯.০৬.২০১৫
……………………………………………
Noble Thought
Continues noble thoughts
give you mental peace,
And morally you will be
more and more rich.
……………………………………………
প্রজার কষ্ট
ক্ষমতায় গেলে সকলেই খুব আলোকিত হয় জানি
সময় ফুরালে আধাঁরে লুটায় প্রায়শ্চিত্ত মানি
দুধের মাছিরা পায়ের উপরে সম্মান ঢালে হেসে
বুঝে নিতে হয় তোমাকে সেনয় চেয়ারকে ভালোবেসে
ঘুঙুরের ব্যথা চাপা প’ড়ে থাকে দুই কদমের তলে
প্রজার কষ্ট চিরকাল শুধু আগুন হয়েই জ্বলে।
১৯.০৮.২০১৮
……………………………………………
কাঠ ঠোকরা
কাঠ ঠোকরা খুব ছোট্ট পাখি
শক্তি বড়ই ঠোঁটে
নইলে কী আর ঠোঁটের ঘাঁয়ে
বৃক্ষ কেঁপে ওঠে!
রাজার মুকুট পরেও পাখি
থাকে গাছের খোড়লে
তাকে দেখে শিখতো যদি
এ সমাজের মোড়লে!
……………………………………………
পুতুল
কাঠের খোপে হাতল বেধে পালকি টানে বেহারা
পর্দা ফাঁকে হেসে ওঠে বর ও বধূর চেহারা।
পালকি দেখে কারসে কথা পড়লো মনে আহারে
কিশোর স্মৃতি বুকে নিয়ে ভাবছি বসে তাহারে।
চড়ুইভাতির মাটির খাবার কলাপাতায় সাজিয়ে
ঘাসচাদরে বসে যেতাম পাতার বাঁশী বাজিয়ে।
ভাবিনিকো সেসব স্মৃতি এমনি ক’রে পোড়াবে!
ইটের ভাটার চিমনী হয়ে আগুন ধুয়া ওড়াবে!
হলুদ বাটো মিন্দি বাটো পুতুল বিয়ের খেলাতে
মিথ্যে করে বউ সাজাতাম মধুর কিশোর বেলাতে।
সেই কিশোরী পালকি চড়ে কোথায় গেলো হারিয়ে
তার আশাতে আজও আমি হাত রেখেছি বাড়িয়ে।।
২১.০১.২০১৫
……………………………………………
বেফাস কথা
রমজান মাসে দর্জির কাছে লোক হয় খুব বেশি
নতুন পোশাক বানাতেই হবে বিদেশী কিংবা দেশী।
ঈদের পূর্ব্বে ছুটি নেই কারো হুকুম হয়েছে জারি
সারারাত জেগে কাজ করে মিলে মালিক কর্মচারী
টেইলর বলে পেরেশানি সুরে ঈদের পূর্ব্ব রাতে
অর্ডারগুলো দিতে হবে ঠিক প্রভাতের সাথে সাথে
জিড়ানোর কোনো ফুসরত নাই তবু কাজ পরিপাটি
এ উহারে বলে তুই হাত ধর আর আমি গলা কাটি।
এমন সময় টহল পুলিশ খবরটা শোনে কানে
রাতের ভিতরে অনেক পুলিশ জড়ো করে ঐ খানে।
পুলিশের দল লাশ খুঁজে মরে দর্জি দোকান ঘেটে
লাশ গেল কই? আজ রাতে যারে মেরেছিস গলা কেটে?
দর্জি বেটায় হেসে হেসে কয় অভিযান হলো মাটি
শার্ট বানাতেই হাত ধরে ট্রেনি আর আমি গলা কাটি।
বলেছি এমন বলবোনা আর কোনোই বেফাস কথা
বেফাস কথার জাল বুনে আর বাড়াবোনা জটিলতা।
কতো সংসার ভেঙে গেছে হায়! বেফাস কথাকে ঘিরে
প্রাণের বন্ধু সেও চ’লে যায় প্রিয় বন্ধন ছিঁড়ে।
২১/০৭/২০১৭
Recent Comments