কাগজ থেকে কাগজীটোলা : তিন রকম নীল গাছ
নীল চাষ ও নীল তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে অতীতের কয়েকজন লেখকের বিবরণ পাওয়া যায়। তাঁদের মধ্যে আছেন পনেরো শতকের উইলিয়াম কিনস ও ট্রাভারনিয়ার। তাঁদের কাছ থেকে নীলচাষ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। নীল গাছ থেকে নীল বের করার কৌশল জানা যায়।
নীল গাছ ছিল দু’হাত উঁচু। শক্ত শেকড় ও কা-ের ওপর এর ছিল অনেক শাখা-প্রশাখা। নীল গাছের ছড়িগুলো আড়াই-তিন ইঞ্চি লম্বা হতো। ছড়ির ভেতর বীজ পাকতো নভেম্বর মাসে। একবার বুনলে এ গাছ বাঁচতো তিন বছর। ফসল কাটা হতো বছরে একবার, আগস্ট-সেপ্টম্বর মাসে।
প্রথম বছর কাটা কোমল নীল গাছ ‘নৌতী’ বা ‘নন্দ’ নামে পরিচিত ছিল। দ্বিতীয় বছরের নীল গাছের পরিচয় ছিল ‘জীয়ারী’ নামে। শেষ বছরের নীল গাছকে বলা হতো ‘কাটেল’। সবচে’ ভালো নীল পাওয়া যেতো জীয়ারী থেকে।
ইংরেজ কোম্পানীর আমলে প্রতি বছর দু’টি করে ফসল তোলা হতো। নদীর ধারের পলি পড়া জমিতে বীজ ছড়িয়ে দেয়া হতো। তার ওপর দিয়ে একটা কলা গাছ টেনে নিলেই বীজ ঢাকা পড়ে যেত। চাষের কোন প্রয়োজন হতো না। তবে চাষ দেয়া জমিতে ফলন ভালো হতো।
Recent Comments