কাগজ থেকে কাগজীটোলা : নীলকুঠির বিস্তার
১৭৯৫ সালে বন্ড নামক এক ইংরেজ যশোরের রূপদিয়া গ্রামে তার প্রথম নীলকুঠি স্থাপন করেন। এরপর তিনি কুঠি গড়েন যশোর জেলার অভয়নগর থানার আলীনগরে। ১৮৩৩ সালে যশোর জেলায় নীলকুঠির সংখ্যা ছিল ৩৩টি।
ঢাকা জেলায় ১৮০১ সালের মধ্যেই অনেক নীলকুঠি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে নীলকুঠির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৭টি। প্রত্যেক জেলায় প্রধান প্রধান নীলকুঠকে বলা হতো ‘কনসার্ন’। একেকটি কনসার্নের অধীনে অনেকগুলি নীলকুঠি থাকতো।
পাবনা জেলায় প্রতিটি কনসার্নের অধীনে পনেরো-ষোলটি কুঠি ছিল। পাবনাতে প্রতি চার-পাঁচ মাইল হাঁটলেই একেকটি নীলকুঠি চোখে পড়তো। ১৮৫৯ সাল নাগাদ বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে প্রায় ৫০০ নীলকুঠি স্থাপিত হয়। এভাবে কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশে নীল চাষ অনেক বেড়ে যায়।
বাংলাদেশে যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, ঢাকা, ফরিদপুর, রংপুর, বগুড়া, রাজশাহী, দিনাজপুর, মোমেনশাহী ও বরিশাল জেলা ছিল নীল চাষের প্রধান কেন্দ্র।
বাংলাদেশের একটি জেলার নাম নীলফামারী। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় এবং নিউমার্কেটের মাঝখানে একটি জায়গার নাম নীলক্ষেত। এমনি অসংখ্য নাম এক সময়কার নীলকুঠি আর নীল চাষের দুঃখময় স্মৃতি আজো ধরে রেখেছে।
Recent Comments